সরকারি হিসাবে গত বছর ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল পাঁচজন। সেখানে এ বছরের প্রথম সাত মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৮ জন বেশি।
জেলা পর্যায়ের চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। সঙ্কটাপন্ন রোগীর ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের অনেককে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়া অধিকাংশই ঢাকা থেকে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. সানিয়া তহমিনা।
তিনি শনিবার বলেন, “আজ আমরা ঢাকার বাইরের যেসব জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে সেসব হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা জানাল, যে কেসগুলো পাওয়া গেছে তার প্রায় ৯৫ ভাগই ঢাকা থেকে গিয়েছে। এ বিষয়ে কী করা যায় সেসব বিষয়ে পরামর্শ ও নির্দেশনা আমরা কাল সংবাদ সম্মেলনে জানাব।”
দেশজুড়ে প্রাণঘাতী এই ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়া অস্বাভাবিক নয়। মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায়। এডিস মশাও এখন সবখানেই আছে। একজন ডেঙ্গু রোগী ঢাকার বাইরে গেলে এডিস মশা তাকে কামড়ে আবার অন্য কাউকে কামড়াল, এভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
“এজন্য মানুষের সচেতন হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।”
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু বাংলাদেশে প্রথম দেখা দেয় ২০০০ সালে, সে সময় এই রোগে মারা যান ৯৩ জন। তিন বছর পর থেকে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার কমতে থাকে এবং কয়েক বছর এতে মৃত্যু শূন্যের কোটায় নেমে আসে।